স্বদেশ ডেস্ক:
কক্সবাজারের পেকুয়ায় এক দিনমজুরের লাখ টাকা ও মোবাইল চুরি মামলার আসামী হয়েছেন সাবেক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা এম শহিদুল ইসলাম চৌধুরী।
শহিদুল ইসলাম উপজেলার উজানটিয়া ইউনিয়নের নুরীর পাড়া এলাকার বাসিন্দা। তিন ওই ইউনিয়নের দুইবারের নির্বাচিত চেয়ারম্যান ও পেকুয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহসভাপতি ছিলেন।
মামলা বলা হয়েছে, গত ২১ জুলাই উজানটিয়া ইউনিয়নের গুদারপাড় ষ্টেশনে মুবিনুল হককে মারধর করেন শহিদুল ইসলাম। এ সময় তার কাছ থেকে টাকা ও মোবাইল চুরি করে নিয়ে যায় চেয়ারম্যান। মামলায় ছাত্রলীগ নেতাসহ আরও তিনজনকে আসামি করা হয়েছে।
এ দিকে সাবেক চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে চুরি মামলা রেকর্ড হওয়ায় সাধারণ মানুষের মাঝে হাস্যরস দেখা দিয়েছে। ক্ষোভ দেখা দিয়েছে ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীদের মাঝেও। সোশ্যাল মিডিয়ায় মামলার বিষয়টি ছড়িয়ে বিলম্বে মামলা দায়েরের বিষয়টি জানাজানি হয়। এতে সর্ব মহলে নিন্দার ঝড় ওঠে।
পেকুয়া উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি কফিল উদ্দিন বাহদুর বলেন, চুরির মামলাটি হাস্যকর। মামলায় ছাত্রলীগের দুজন নেতাকে আসামি করা হয়েছে। যতোটুকু জেনেছি তারা দুজনই চট্টগ্রাম শহরে ছিল। তারা সম্ভ্রান্ত পরিবারের ছেলে। এটা গভীর ষড়যন্ত্র। ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা কখনো এ ধরনের কাজে জড়িত থাকতে পারে না।
মামলার আসামি ও উজানটিয়া ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ‘এটা আমার বিরুদ্ধে গভীর চক্রান্ত। বর্তমান চেয়ারম্যান ও কিছু দলের নেতাদের ইন্ধনে আমাকে আসামি করা হয়েছে। এটা রাজনীতির খেলা।’
স্থানীয়রা জানায়, শহিদুল ইসলাম চৌধুরী টানা ১৮ বছর জনপ্রতিনিধি ছিলেন। ২০০৩ সালে কারাগারে থাকা অবস্থায় ইউপি সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। দুবার চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি একজন জনপ্রিয় ও পরিচ্ছন্ন রাজনীতিবিদ। এছাড়াও চেয়ারম্যান এসোসিয়েশন পেকুয়ার সাধারন সম্পাদক পদে দীর্ঘদিন দায়িত্ব পালন করেছেন। মোবাইল ও টাকা চুরির মামলা ষড়যন্ত্র ছাড়া আর কিছুই নয়।
কক্সবাজার জেলা যুবলীগের সভাপতি সোহেল আহমদ বাহাদুর বলেন, শহিদ যুবলীগ নেতা। সাবেক পেকুয়া উপজেলা যুবলীগের সভাপতি। দুবারের চেয়ারম্যান। মোবাইল চুরির মতো মামলাটি তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র। এ মামলার পেছনে আরও গভীর চক্রান্ত থাকতে পারে।
পেকুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্তকর্তা মো.তাজ উদ্দিন বলেন, ‘আসলে মামলায় শুধু চুরির ধারা আসেনি। ঘটনাটি মারধরের। একটা ঘটনা হলে এজাহারে বর্ণিত বিষয়ের আলোকে মামলায় বিভিন্ন ধারা আসে, এটা আমিও জানি আপনিও জানেন। তদন্তে সংশ্লিষ্টতা না পেলে আসামিকে অব্যাহতি দেওয়া হবে।’